জীবন সান্নিধ্য
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জিম এবং স্টিউ নামের দুজন
ব্যক্তিকে একই রুমে এডমিট করে।জীমের বেডটি ছিল জানালার একেবারে কাছাকাছি আর
স্টিউ এর বেডটি ছিল জীমের ঠিক পেছনে। কেউ কারো চেনা পরিচিত না হলেও একই
রুমে থাকার সুবাদে দুজনের মধ্যে একটা সময় ভাল সম্পর্ক গড়ে উঠে। দিনের
বেশিরভাগ সময়ই ব্যক্তিগত জীবনের স্মৃতিগুলো নিয়ে তারা একে অন্যের সাথে
গল্পে মেতে উঠতো।
জীম প্রত্যেক বিকেলে বেডে উঠে বসতো আর জানালার দিকে তাকিয়ে বাহিরের মনোরম দৃশ্যগুলো দেখে স্টিউ এর কাছে বর্ননা করতো। যেহেতু স্টিউ জানালার ওপাশের দৃশ্যগুলো দেখতে পারতো না তাই সে জীমের বর্ননাগুলো মন দিয়ে শুনতো আর চোখ বন্ধ করে সেগুলো কল্পনা করতো। এভাবে করেই সেই হাসপাতালে তাদের কয়েক মাস পেরিয়ে গেল।
জীম প্রত্যেক বিকেলে বেডে উঠে বসতো আর জানালার দিকে তাকিয়ে বাহিরের মনোরম দৃশ্যগুলো দেখে স্টিউ এর কাছে বর্ননা করতো। যেহেতু স্টিউ জানালার ওপাশের দৃশ্যগুলো দেখতে পারতো না তাই সে জীমের বর্ননাগুলো মন দিয়ে শুনতো আর চোখ বন্ধ করে সেগুলো কল্পনা করতো। এভাবে করেই সেই হাসপাতালে তাদের কয়েক মাস পেরিয়ে গেল।
কোন এক সকালে হাসপাতালের নার্স তাদের দুজনের গোসলের জন্য পানি আনতে গিয়ে
দেখে জীমের নিথর দেহ বেডে পড়ে আছে। ঘুমন্ত অবস্থায় জীমের মৃত্যু ঘটে। নার্স
সাথে সাথে হাসপাতালের এটেন্ডেন্টকে কল করে মৃত দেহটা সরিয়ে ফেলতে বলে। জীম
যেহেতু মারা গিয়েছে সেহেতু ঐ বেডটা খালি পড়ে থাকলো। স্টিউ নার্সকে অনুরোধ
করলো যদি সম্ভব হয় তাকে যেন ঐ বেডে ট্রান্সফার করা হয়। নার্স খুশি মনে
স্টিউকে জীমের বেডটাতে ট্রান্সফার করে দিল। স্টিউ ঐ বেডে যাওয়ার পর উৎসাহিত
হয়ে জানালার ফাক গলে দেখতে চাইলো জীম তাকে যা যা বর্ননা করেছিল সেগুলোকে।
কিন্তু হায় একি ওখানে তো একটা সাদা দেয়াল! বাইরের কোন কিছুই তো দেখা যায়
না। স্টিউ নার্সকে জিজ্ঞেস করলো জানালার ওপাশে যেহেতু একটা দেয়াল ছাড়া আর
কিছুই নেই, তবে জীম তাকে কীভাবে বাইরের মনোরম পরিবেশ নিয়ে এতো সুন্দর
সুন্দর বর্ননা করতো। প্রতিত্তুরে নার্স স্টিউকে বলল জীম ছিল অন্ধ। সুতরাং
জানালার ওপাশে যে কোন দেয়াল আছে সেটাও সে দেখতে পেতো না। হয়তো জীম ওভাবে
বর্ননা করতো যাতে সে স্টিউ এর মনের ভিতর একটা উদ্দীপনা এবং আশার আলো জাগাতে
পারে।
#মোরালঃ কাউকে সুখী করার মধ্যে অনেক বেশি সুখ নিহিত রয়েছে এমনকি আপনি যে ধরনের পরিস্থিতিতে থাকুন না কেন। কারো সাথে দুঃখ ভাগভাগি করলে হয়তো অর্ধেক দুঃখ প্রশমিত হতে পারে কিন্তু সুখটাকে যখন শেয়ার করা হয় তখন সেই সুখটা দ্বিগুণ হয়ে যায়। যদি আপনি নিজেকে ধনী মনে করতে চান তবে জীবনের এমন বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিন যেগুলোকে টাকা দিয়ে কখনো কেনা যায় না।
(সংগৃহীত)
#মোরালঃ কাউকে সুখী করার মধ্যে অনেক বেশি সুখ নিহিত রয়েছে এমনকি আপনি যে ধরনের পরিস্থিতিতে থাকুন না কেন। কারো সাথে দুঃখ ভাগভাগি করলে হয়তো অর্ধেক দুঃখ প্রশমিত হতে পারে কিন্তু সুখটাকে যখন শেয়ার করা হয় তখন সেই সুখটা দ্বিগুণ হয়ে যায়। যদি আপনি নিজেকে ধনী মনে করতে চান তবে জীবনের এমন বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিন যেগুলোকে টাকা দিয়ে কখনো কেনা যায় না।
(সংগৃহীত)
No comments