কিভাবে কখন শিদ্ধান্ত নিলাম যে আমার CSE পড়া উচিৎ ।। When I make my mind to read computer science

যখন দেখলাম কোন পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার জায়গা হয়নি তখন এতোটা শিদ্ধান্তহিনতায় ভুগছিলাম যে তা বলে বুঝাতে পারবো না।
কিছুদিন ভেবেছিলাম , শালার লেখাপড়াই বাদ।তারপর ভাবলাম নাহ ! লাইফ এ এরকম একটা জায়গায় গিয়ে হেরে গেলে চলবে না।  দ্বিতীয় বারের জন্নে যখন অকৃতকার্য হলাম তখন আসলে মনের ভেতর থেকে চক্ষু লজ্জা জিনিশটা উঠে গেল ।
আগের মত আর মানুষের expectation নিয়ে ভাবতে ইচ্ছে করত না ।
জিবনে খুব ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হব । বাবার নামটা ধরে রাখব । আমি অনেক কেঁদেছি জায়নামাজে বসে ।
আল্লাহ চান নি । তাই হয়তো জীবনের মোড় টা এভাবে ঘুরিয়ে দিলেন । যা আমি কোনদিন কল্পনাও করিনি। হয়তো এটাই আমার জন্নে কল্যাণকর ।
এবার গল্পে আসি ।
যখন মনের মধ্যে তোলপাড় চলছে তখন নিজের কাছেই মনে হল, জিবনে যতটুকু সুযোগ আছে ততটুকু কাজে লাগাব । এছাড়া উপায় ও ছিল না আমার। এই সময় একটা দারুন কাজ করতে লাগলাম আর সেটা হল ব্লগ পড়া । বাংলা - ইংলিশ দুইটাই । আমি যেটা পড়তাম তা মুলত - ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশুনা কেমন, কোন ডিপার্টমেন্ট এ কোন ধরনের পড়াশুনা এসব নিয়ে । শেষ পর্যন্ত যেটা বুঝলাম তা হল ঃ আমি যদি CSE পড়ি তাহলেই আমার পক্ষে ভালো কিছু করা সম্ভব । যদিও আমি এটা বুঝেছিলাম যে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চাকরি পাওয়া ইলেকট্রিকাল এ আনুপাতিক হারে সোজা ।
তখনও যে পুরোপুরি সন্দেহ গিয়েছে তা কিন্তু নয় ।
কি করব ভাবতে ভাবতে ঢাকায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া এক বন্ধুর কাছে ফোন এ যোগাযোগ করলাম , নিজের অসহায়ত্ব আর অপারগতা প্রকাশ করে । আমার ঐ বন্ধুটির কথায়ই শেষ পর্যন্ত সাহস পেলাম এবং সিদ্ধান্ত নিলাম যে কম্পিউটার বিজ্ঞানেই পড়া উচিৎ আমার ।
ওর একটা কথা এখনো আমার কানে বাজে । বলেছিল , " দোস্ত আমি যদি জানতাম যে কম্পিউটার বিজ্ঞান পড়াটা এরকম তাহলে আমি হয়তো ঢাকায়ই আসতাম না , খুলনায় থাকতাম । কারন এই বিষয়ে পড়াশুনা করাটা পুরোটাই নিজের উপর নির্ভর করে । "
(চলবে ...)

No comments

বিটকয়েন - নতুন ধারা

বিটকয়েন হচ্ছে এক ধরনের সাংকেতিক মুদ্রা (Virtual Currency) যেটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটকলের মাধ্যমে লেনদেন করা হয়ে থাকে। এটি লেনদেন নিয়ন্ত্রণ...

Theme images by enjoynz. Powered by Blogger.